স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীর উপকন্ঠে পবার ভালাম ও ভবানিপুর, কাটাখালি থানাধীন কুখুন্ডি এলাকায় ৪/৫ টি ইটভাটা ও হরিয়ান রাস্তার পাশের একটি ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। গত তিন বছর যাবত এই ভাটায় কাঠ পোড়ানো হলেও দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, পবা উপজেলার ভবানিপুর এলাকায় বিএএম ব্রিকস্ নামের একটি ইট ভাটা আবাসিক ও বাগান এলাকার পাশে কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে। এই ভাটায় তিন বছর যাবত কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। ভাটামালিক প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেউ তাকে কিছু বলতে সাহস পাননা। অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না প্রশাসন।
অথচ আবাসিক এলাকা ও বাগানের পাশে কৃষি জমি নষ্ট করে ইটভাটা তৈরি করতে নিষেধ রয়েছে। তাছাড়া ভাটায় কাঠ না পুড়িয়ে কয়লা পোড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এসব নিয়ম অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, এই এলাকায় কৃষি জমি ও বাগানগুলোর পাশেই কয়েকটি ইটভাটা গড়ে উঠায় জমিতে ফসল কমে গেছে ও বাগানগুলোতে তেমন ফল ধরেনা। ফলে তাদের বাধ্য হয়ে বাগানগুলো কেটে ফেলতে হচ্ছে। ভাটা বন্ধ হলে তাদের বাগানগুলো বেচেঁ যেত। জমিগুলোও আবার ভরে উঠতো সোনালী ফসলে।
ভাটা মালিক জাকির হোসেন বাবু বলেন, বাগানে কৃষকদের লাভ হয় না। তাছাড়া এখন বাগানে তেমন ফলও ধরেনা। তাই কৃষকের বাগানের গাছ কিনে তিনি ভাটায় পোড়াচ্ছেন। এতে কৃষকদের উপকার হচ্ছে। তারা বাগান কেটে ওই জমিতে বিভিন্ন ফসল ফলাতে পারবে। তার মত এই এলাকায় আরও ৩/৪টি ইট ভাটায় বাগান কেটে কাঠ পোড়ানো হয় বলে ওই ভাটা মালিক জানান।
পরিবেশ রক্ষায় এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) মাহমুদা পারভিন জানান, আমার নিকট সুনির্দিষ্ট নাম ঠিকানাসহ অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.